নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে কোনোভাবেই থামছে না সংঘাত। বুধবার রাতে বসুরহাট পৌরশহরে ছাত্রলীদের সাবেক দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠেছে আবদুল কাদের মির্জা অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
আহতরা হচ্ছেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি ও চরফকিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সবাকে সভাপতি আনোয়ার হোসেন লিটন। তারা দুইজন উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে বসুরহাট বাজারের একটি ওষুধ ফার্মেসী দোকানে বসা অবস্থায় কচি ও লিটনের উপর হামলা চালায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী শিহাব, ওয়াসিম, মাসুদসহ ২৫-৩০ জনের একদল। এ সময় তারা দুইজনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে হামলাকারীরা দোকান ভাঙচুর করে চলে যায়। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসকার জন্য রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কচিসহ দুইজনকে তাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন কুপিয়ে আহত করে। তবে এ বিষয়ে কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।